Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে রূপালী মৎস্য রেণু চাষে করণীয়

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে রূপালী মৎস্য রেণু চাষে করণীয়

কৃষিবিদ মোঃ আলতাফ হোসেন চৌধুরী

১৯৭২ সালের জুলাই মাসে কুমিল্লার এক জনসভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেছিলেন মাছ হবে ২য় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ। এরই অংশ হিসেবে ১৯৭৩ সালে গণভবনের লেকে বঙ্গবন্ধু মাছের পোনা অবমুক্তকরণের মাধ্যমে মাছ উৎপাদনের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেন। দীর্ঘদিন পরে হলেও বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা বাস্তবে রূপ লাভ করেছে। বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরে পদার্পণ করেছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ মাছ চাষে সয়ংসম্পূর্ণ। দেশে বর্তমানে মাছে উৎপাদন ৪৪ লক্ষ মেট্রিক টন। এর মধ্যে রুই, মৃগেল, কাতলা মাছের উৎপাদন ২০ শতাংশ, ইলিশের উৎপাদন ১২ শতাংশ, পাঙ্গাসের উৎপাদন ১১.৫ শতাংশ, বিদেশি কার্পের উৎপাদন ১১ শতাংশ, তেলাপিয়ার উৎপাদন ৯ শতাংশ, চিংড়ির উৎপাদন ৫.৫ শতাংশ এবং অন্যান্য মাছের উৎপাদন ৩১ শতাংশ। দেশে বর্তমানে ২৬৪টি সাধু পানির মাছের প্রজাতি, ৭৪০টি সামুদ্রিক মাছের প্রজাতি ও ৫৬৯টি অন্যান্য মাছের প্রজাতি পাওয়া যাচ্ছে (তথ্য সূত্র: শের-এ- বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা এবং জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি)। সাধু পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয়। মাছের প্রজাতির বৈচিত্র্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল পেছনে। প্রজাতি বৈচিত্র্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২২১টি দেশের মধ্যে ১০০তম।
প্রজাতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউ সি এনের বৈশ্বিক তথ্য ভাণ্ডার ২০২০ অনুযায়ী ৭৪০টি প্রজাতির মধ্যে ৫০টি প্রজাতির মাছ বিপন্ন, ১০টি মহাবিপন্ন, ১৪ প্রজাতি সংকটাপন্ন ও ২৬টি প্রজাতি ঝুঁকিপূর্ণ।
এমতাবস্থায়, মাছের প্রজাতি টিকিয়ে রাখার জন্য হ্যাচারির রেণুর উৎপাদন ছাড়া বর্তমানে মৎস্য উৎপাদন সামনের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। দেশে বর্তমানে সরকারি বেসরকারি হ্যাচারি ও নার্সারি মোট ১০৭৮টি। সরকারি মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের সংখ্যা (১০২টি হ্যাচারি সুবিধাসহ) মোট ১৪৩টি, বেসরকারি মৎস্য হ্যাচারির সংখ্যা ৯৩৫টি। হ্যাচারির রেণু উৎপাদন ৬৬৪০২০ কেজি, সরকারি হ্যাচারিতে রেণু উৎপাদন (২০১৯) ১৩৪৮৫ কেজি, বেসরকারি রেণু উৎপাদন (২০১৯) ৬৫০৫৩৫ কেজি। গলদা হ্যাচারি (সরকারি ২৭টিসহ) ৩৫টি, বাগদা হ্যাচারি ৪২টি, গলদা হ্যাচারিতে পিএল উৎপাদন (সরকারিসহ) ১.৫৮ কোটি, বাগদা হ্যাচারি পিএল উৎপাদন ৯৭৯.৩৭ কোটি, প্রাকৃতিক উৎস হতে রেণু উৎপাদন ২৪৯৬ কেজি। উল্লেখ্য যে প্রাকৃতিক জলাশয় থেকে রেণু প্রাপ্তি দিন দিন কমে যাচ্ছে তাই ইনডিউস ব্রিডিং এর মাধ্যমে মৎস্য রেণু উৎপাদনের উপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে চাষিদের নির্ভর করতে হচ্ছে ।
সুবর্ণজয়ন্তীতে মৎস্য প্রোটিন সরবরাহের সফলতা
ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে ব্যাপকভাবে প্রাণিজ (মৎস্য) প্রোটিনের উপর যেমন জাতিকে নির্ভর করতে হয় তেমনি দেশের প্রায় ১৭ কোটি জনসংখ্যার ৬০% প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে মৎস্য থেকে। জনপ্রতি বার্ষিক মাছ গ্রহণ ২৩.০০ কেজি। মাছের বার্ষিক চাহিদা ৪৩.৪১ লক্ষ মে.টন উৎপাদন (উৎপাদন হচ্ছে ৪৪ লক্ষ মে.টন)। জনপ্রতি মাছের বার্ষিক চাহিদা ২১.৯০ কেজি, জনপ্রতি মাছের দৈনিক চাহিদা ৬০ গ্রাম, আর প্রানিজ আমিষ সরবরাহে মাছের অবদান ৬০ শতাংশ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতির জন্য এক বিশাল অর্জন।
রূপালী মৎস্য রেণু উৎপাদন ব্যবস্থাপনা
রূপালী মৎস্য রেণু উৎপাদন তিনটি বিষয়ের উপর ওতপ্রোতভাবে জড়িত, বিষয়গুলো হলোঃ (১) ফিড, (২) রেণু (পোনা), (৩) ব্যবস্থাপনা। বিষয়গুলোর একটির ঘাটতি হলে রেণু উৎপাদন ব্যাহত হবে। গুণগত মান সম্পূর্ণ রেণু উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন (১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পূর্ণ ব্রুড মাছ (মা, বাবা মাছ) (২) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পূর্ণ পুকুরের পরিবেশ। (৩) যে পুকুরে ব্রুড থাকবে সে পুকুরে রোগ জীবাণু উচ্ছেদ করণের ব্যবস্থা। (৪) বাহিরের রোগ জীবাণু প্রবেশ বন্ধ।
পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা ও পরিচর্যা: পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা ও পরিচর্যার মাধ্যমে ব্রুড মাছের উপর শারীরিক চাপ পরিহার করা যায়। ১.সঠিক উপায়ে পুকুর প্রস্তুতকরণ (পুকুর শুকানো, তলদেশের পচা কাদা অপসারণ, বার বার চাষ দিয়ে শুকানো এবং চুন প্রয়োগ)। ২. পানির উন্নত গুণাবলী বজায় রাখা (পিএইচ, অক্সিজেন, এ্যামোনিয়া ইত্যাদি)। ৩.মাছকে সকল প্রকার পরিবেশগত চাপ/পীড়ন থেকে মুক্ত রাখা। যেমন- অতিরিক্ত মাছ মজুদ না করা। পরিমিত মাত্রায় সুষম খাদ্য প্রয়োগ। অতিরিক্ত জাল টানা বানড়া চড়ানা করা, যা মাছের শরীরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্ষতের সৃষ্টি করে। কত ঘনত্বে মসৃণ পাত্রে ব্রুড মাছ পরিবহন করা। একই আকারের মাছ মজুদ করা। পানিতে নিয়মিত অক্সিজেন ঘাটতি, গ্যাসের আধিক্য বা দূষণ হলে পানি পরিবর্তন করা। ৪.শীতকালই ক্ষতরোগ সংক্রমণের সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। তাই এসময়ে ব্রুড মাছ ও তার পরিবেশ ও ঝুঁকিপূর্ণ সকল বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা। ৫. শীতের শুরুতে শতাংশে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করা (তবে এটা পানির ক্ষারত্বের উপর নির্ভর করে পরিবর্তনশীল)। ৬.অন্যান্য রোগ ও পরজীবীর ব্যাপারে সতর্ক থাকা। ৭.আক্রান্ত এলাকায় রোগ সহিষ্ণু প্রজাতির ব্রুড মাছ মজুদ করা। ৮. ব্রুড মাছ ও খামারের নিয়মিত পরিচর্যা।
ব্রুড মাছ ও খামারের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
মাছের আচরণের দিক দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। মাঝে মাঝে জালটেনে ব্রুড মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা যেতে পারে। ব্রুড মাছ রোগাক্রান্ত হলে তার চিকিৎসা ততসহজ নয়। রোগের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি জটিল, ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল। তাই রোগ প্রতিরোধে পানির গুণাবলি উন্নয়ন ও উন্নত ব্যবস্থাপনা অধিক গ্রহণযোগ্য। সকল মৃত ও অর্ধমৃত ব্রুড মাছ অপসারণ করা ও মাটির নিচে পুঁতে ফেলা। দূষিত পানি পরিবর্তনে চুন প্রয়োগ (কলিচুন)। ১ কেজি/শতক (পিএইচ ও ক্ষারত্বের উপর ভিত্তি করে)। জিওলাইট শতাংশের ১৫০-২০০ গ্রাম ব্যবহার করে পানির এ্যামোনিয়াজনিত বিষক্রিয়া কমানো যায়। এককোষী/বহুকোষী পরজীবী সংক্রমণ হলে ৫০ পিপিএম ফরমালিনে (৩৭%) ২৮ ঘণ্টা গোসল করাতে হবে। আরগুলাস (উকুন) সংক্রমণে ০.২৫ থেকে ০.৫০ পিপিএমডি পটারেক্স আক্রান্ত পুকুরে ১০/১৫ দিন অন্তর অন্তর ২/৩ বার প্রয়োগ করতে হবে। ব্যাকটেরিয়াজনিত ক্ষত বা পচন হলে ৫০ মিগ্রা. টেট্রাসাইক্লিন/কেজি মাছকে প্রতিদিন খাবারের সাথে মিশিয়ে    ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে। ছত্রাক সংক্রমণ করলে ২০০ পিপিএম লবণ জলে আক্রান্ত মাছকে ১ ঘণ্টা গোসল (সপ্তাহে ১ বার) অথবা আক্রান্ত পুকুরে ০.৫ পিপিএম মিথাইলিন ব্লু প্রয়োগ করতে হবে।
ব্রুড মাছের কৌলিতাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে করণীয়
ভালো মানের ব্রুডের উপরেই হ্যাচারীর সফলতা নির্ভর করে অর্থাৎ হ্যাচারীর মূল হাতিয়ার হলো ব্রুড মাছ(পরিপক্ক পুরুষ ও স্ত্রী মাছ)। সেই নেপোলিয়ান বোনাপার্ট কথার অবতারনা করা যায় আমাকে একজন শিক্ষত মা দাও আমি তোমাদের শিক্ষিত জাতি উপহার দিব।অনুরুপ অন্যান্য পারিপাশির্^ক ফ্যাক্টর ভালো থাকলে হ্যাচারিতে উন্নত রেণু উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্রুড মাছ শিক্ষিত মা বাবার ভুমিকাই পালন করে ।
জেনেটিক ভেরিয়েশন দুইভাগে ভাগ করা যায়। ১)অন্তঃপপুলেশন ভেরিয়েশন। ২) আন্তঃপপুলেশন ভেরিয়েশন।
অন্তঃপপুলেশন ভেরিয়েশন লক্ষণীয় : অন্তঃপপুলেশন ভেরিয়েশন লক্ষণীয় বিষয়গুলো হচ্ছে- ক) লিঙ্গ অনুপাত মা ঃ বাবা = ১ ঃ ১; হতে হবে। (খ) প্রজেনি বণ্টন উন্নত রেণু উৎপাদনের ক্ষেত্রে বড় নিয়ামক; (গ) পপুলেশনের আকারের উঠানামা পপুলেশন বৃদ্ধিতে বড়ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করে; (ঘ) আকস্মিক জেনেটিক সংকোচন বিষয়টি জিন পপুলেশন এর ক্ষেত্রে মাথায় রেখে হ্যাচারী অপারেশনে যেতে হবে অন্যথায় রেণু উৎপাদনে হোচট ক্ষেতে হবে; (ঙ) জেনেটিক ড্রিফ্ট বিষয়টি বেসরকারি হ্যাচারিসমূহে কোনভাবেই মেনে চলা হচ্ছেনা। যা হ্যাচারীর ভবিষ্যৎ এর জন্য কঠিন বাধা; (চ) নিকটতম ভাই ও বোন থেকে যখন মাছের প্রজনন ঘটিয়ে রেণু উৎপাদন করা হয় তাই অন্তঃপ্রজনন যা বাংলাদেশের বেসরকারি হ্যাচারিসমুহে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার এবং রেণুর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কালো অধ্যায়।
রূপালী মৎস্য রেণু চাষে সুপারিশ
রূপালী মৎস্য রেণু চাষে করণীয়সমুহ মেনে চললে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মাছের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। যেমন- ১) মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন গুণগতমানসম্পন্ন উন্নত কৌলিতাত্বিক গুণসম্পন্ন রেণু প্রয়োজন। ২) ব্রুড ব্যাংক প্রকল্পের আওতায় (সিলভার কার্প, বিগহেড কার্প ও গ্রাসকার্প) ইত্যাদি প্রজাতির অরিজিনাল ব্রুড সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সরবরাহ করতে হবে এবং যথাযথ মনিটরিং এর মাধ্যমে উন্নত ব্রুড ব্যাংক গড়ে তুলতে হবে। ৩) বদ্ধ জলাশয়ে মৎস্য রেণু চাষ সম্প্রসারণ ও আধুনিকরণ করতে হবে। ৪) পরিবেশবান্ধব চিংড়ির পি.এল (পোস্ট লার্ভি) এর চাষ সম্প্রসারণ করতে হবে। ৫) মাছের প্রাকৃতিক প্রজননক্ষেত্র সংরক্ষণ করতে হবে (হালদাসহ অন্যান্য ক্ষেত্র)। ৬) যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে (কোভিড-১৯) রেণুর উৎপাদন, সরবরাহ, সেবা জরুরীখাত হসিাবে চালু রাখতে হবে। ৭) রেণু সরবরাহ, উৎপাদন, পরিবহণের সাথে জড়িত মানবসম্পদ এর উন্নয়নে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে (মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের)। ৮) ইনোভেশন ও ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রমকে জোরদার করতে হবে। ৯) রেণু উৎপাদনে ব্যবহৃত উপাদান যেমন- পিটুইটারি গ্রান্ড (পি.জি), এইচসিজি এবং অন্যান্য উপাদানসমুহ গুনগতমানসম্পন্ন হতে হবে। ১০) হ্যাচারি আইন সমুহ সঠিকভাবে মেনে চলার ব্যবস্থা করতে হবে।
অধিক রেণু উৎপাদনের চেয়ে গুণগতমান সম্পন্ন কম রেণু উৎপাদন অধিক শ্রেয়। ব্রুড মাছ চাষের ক্ষেত্রে এই প্রবাদটির গুরুত্ব অপরিসীম। ব্রুড মাছ একটি জলজ প্রাণী। পানির সঠিক ভৌত রাসায়নিক গুণাবলি অর্থাৎ সুস্থ জলজ পরিবেশের উপরই এদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকা ও বৃদ্ধি পাওয়া নির্ভর করে। অতএব, উন্নত জলজ পরিবেশ ও খামার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ব্রুড মাছকে সুস্থ রাখা অধিকতর সহজসাধ্য, কম ব্যয়বহুল, কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং পরিবেশ বান্ধব। যাই হোক ”মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি করি, সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ি”এই প্রতিপাদ্যকে বাস্তবায়ন করাই আমাদের সবার অঙ্গীকার। য়
খামার ব্যবস্থাপক, মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা, মোবাইল : ০১৭১২৪০৮৩৫৩, ই-মেইল : chowdhari_33@yahoo.com


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon